Microservices Architecture হলো একটি আর্কিটেকচারাল স্টাইল, যেখানে একটি বড় অ্যাপ্লিকেশনকে ছোট ছোট, স্বাধীন এবং পরিষ্কারভাবে সংজ্ঞায়িত পরিষেবায় বিভক্ত করা হয়। এই পরিষেবাগুলি একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, তবে প্রতিটি মাইক্রোসার্ভিস এককভাবে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করে। এটি ঐতিহ্যবাহী Monolithic Architecture থেকে ভিন্ন, যেখানে সমস্ত ফিচার এবং কার্যকারিতা একক অ্যাপ্লিকেশন বা কোডবেসে একত্রিত থাকে।
Microservices Architecture সাধারণত বিভিন্ন পরিষেবার মাধ্যমে কাজ করে, যেগুলি একে অপরের সাথে API বা অন্যান্য যোগাযোগ পদ্ধতি (যেমন RESTful API, messaging queues) ব্যবহার করে সংযোগ স্থাপন করে।
ধরা যাক, একটি ই-কমার্স ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হচ্ছে যেখানে বিভিন্ন ফিচার রয়েছে, যেমন ইউজার অথেনটিকেশন, পেমেন্ট প্রসেসিং, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট, এবং অর্ডার ট্র্যাকিং।
এখানে প্রতিটি পরিষেবা (microservice) একে অপরের সাথে RESTful API বা message queues এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে।
Microservices Architecture হল একটি জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী আর্কিটেকচারাল প্যাটার্ন যা স্কেলেবিলিটি, ডিপ্লয়মেন্ট স্বাধীনতা, এবং টেকনোলজি ফ্রিডম প্রদান করে। তবে, এটি কিছু চ্যালেঞ্জও নিয়ে আসে, যেমন ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেমের জটিলতা এবং ডেটা কনসিসটেন্সি সমস্যা। সঠিক প্যাটার্ন এবং টুলস ব্যবহার করে এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করা সম্ভব, এবং ছোট, স্বাধীনভাবে স্কেল করা পরিষেবাগুলি তৈরির মাধ্যমে সিস্টেমটির পারফরম্যান্স ও মেইনটেনেবিলিটি উন্নত করা যায়।
Microservices হল একটি আর্কিটেকচারাল প্যাটার্ন যেখানে একটি অ্যাপ্লিকেশনকে ছোট, স্বাধীন এবং অঙ্গীকারবদ্ধ সার্ভিসে ভাগ করা হয়। প্রতিটি সার্ভিস একটি নির্দিষ্ট ফিচার বা কাজ সম্পাদন করে এবং একে অপরের সাথে API (Application Programming Interface) বা অন্যান্য যোগাযোগ পদ্ধতির মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে। এই মডেলটি আধুনিক সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে যখন বড় এবং স্কেলযোগ্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে হয়।
প্রতিটি মাইক্রোসার্ভিস আলাদা এবং স্বতন্ত্রভাবে কাজ করে, এবং এটি একটি নির্দিষ্ট কাজ বা ফিচারের জন্য দায়ী থাকে। সার্ভিসগুলো একে অপরের থেকে স্বাধীনভাবে বিকাশ এবং ডিপ্লয় (deploy) করা যেতে পারে।
প্রতিটি মাইক্রোসার্ভিস সাধারণত একটি নির্দিষ্ট ডোমেন বা কার্যকলাপের উপর কাজ করে, যেমন অর্ডার ম্যানেজমেন্ট, পেমেন্ট প্রসেসিং, ইউজার অথেন্টিকেশন ইত্যাদি।
মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচারের সাহায্যে প্রয়োজনীয় সার্ভিসগুলো আলাদাভাবে স্কেল করা যেতে পারে। এটি সিস্টেমের কর্মক্ষমতা এবং লোড ম্যানেজমেন্টে সাহায্য করে।
প্রতিটি মাইক্রোসার্ভিস আলাদা প্রযুক্তি বা প্রোগ্রামিং ভাষায় ডেভেলপ করা যেতে পারে, যা প্রোগ্রামিং ভাষা, ডাটাবেস বা অন্যান্য টুল ব্যবহার করার স্বাধীনতা প্রদান করে।
মাইক্রোসার্ভিসগুলো স্বাধীনভাবে ডিপ্লয় করা যেতে পারে, যার ফলে এক সার্ভিসে পরিবর্তন আনার ফলে পুরো সিস্টেমের ডিপ্লয়মেন্টের উপর প্রভাব পড়ে না। এটি দ্রুত ডেভেলপমেন্ট এবং রিলিজ সাইকেল সম্ভব করে তোলে।
মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচার অ্যাপ্লিকেশনকে ছোট সার্ভিসে ভাগ করে দেয়, যেগুলো আলাদাভাবে স্কেল করা যায়। এতে সিস্টেমের পারফরম্যান্স বাড়ানো সম্ভব, কারণ প্রতিটি সার্ভিসের জন্য প্রয়োজনীয় রিসোর্স বরাদ্দ করা যায়।
প্রতিটি মাইক্রোসার্ভিস স্বাধীনভাবে ডেভেলপ এবং ডিপ্লয় করা যেতে পারে, যা ডেভেলপমেন্টের গতি বাড়ায়। এতে একাধিক ডেভেলপার বা টিম একসাথে কাজ করতে পারে এবং দ্রুত অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারে।
যেহেতু প্রতিটি মাইক্রোসার্ভিস আলাদাভাবে কাজ করে, একটি সার্ভিসের বিঘ্ন ঘটলে পুরো সিস্টেমের ওপর প্রভাব পড়বে না। এই স্বতন্ত্রতা অ্যাপ্লিকেশনকে আরও স্থিতিস্থাপক (resilient) করে তোলে।
মাইক্রোসার্ভিস অ্যাপ্লিকেশন একাধিক প্রোগ্রামিং ভাষা, ডাটাবেস এবং অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে। এর ফলে দল বা ডেভেলপাররা তাদের পছন্দের প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করতে পারে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সিস্টেমের অংশ পরিবর্তন করতে পারে।
মাইক্রোসার্ভিসের মাধ্যমে আলাদা আলাদা সার্ভিসগুলো দ্রুত রিলিজ করা যায়। এতে অ্যাপ্লিকেশনের নতুন ফিচারগুলো দ্রুত বাজারে আনা সম্ভব হয়, কারণ একটি সার্ভিসের পরিবর্তন অন্য সার্ভিসগুলোর কাজের ওপর প্রভাব ফেলে না।
একটি মাইক্রোসার্ভিসের ভিতরের কোড বা লজিক পরিবর্তন করলে, পুরো সিস্টেমের জন্য নতুন আপডেট বা মেইনটেন্যান্স করতে হয় না। শুধু সেই সার্ভিসে আপডেট করা হয়, যা সার্ভিসের দক্ষতা এবং মেইনটেন্যান্স প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।
ধরা যাক, একটি ই-কমার্স অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হচ্ছে। এই অ্যাপ্লিকেশনটি বিভিন্ন মডিউল নিয়ে গঠিত হবে, যেমন:
এই প্রতিটি মডিউল বা সার্ভিস আলাদা আলাদা মাইক্রোসার্ভিস হিসেবে ডেভেলপ করা হবে। এগুলোর মধ্যে প্রতিটি সার্ভিস স্বাধীনভাবে কাজ করবে, এবং প্রয়োজন অনুযায়ী একে অপরের সাথে API বা মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে যোগাযোগ করবে।
Microservices অ্যাপ্লিকেশন আর্কিটেকচারের জন্য একটি শক্তিশালী প্যাটার্ন, যা ছোট, স্বাধীন সার্ভিসে অ্যাপ্লিকেশনটি ভাগ করে এবং প্রতিটি সার্ভিস স্বাধীনভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়। এটি স্কেলেবিলিটি, ফ্লেক্সিবিলিটি এবং দ্রুত ডেভেলপমেন্ট নিশ্চিত করে, তবে এর সঙ্গে কিছু চ্যালেঞ্জও থাকতে পারে, যেমন সিস্টেমের জটিলতা এবং ডেটা consistency। তবে সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচার সিস্টেমের কার্যক্ষমতা ও পরিচালনাকে অনেক সহজ করে তোলে।
Microservices Architecture বর্তমানে সিস্টেম ডিজাইন এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে একটি জনপ্রিয় প্যাটার্ন হয়ে উঠেছে। এটি একটি অ্যাপ্লিকেশনকে ছোট ছোট, স্বাধীন সেবা বা "মাইক্রোসার্ভিস"-এ বিভক্ত করে। যদিও মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচারের অনেক সুবিধা রয়েছে, তবে এটি কিছু চ্যালেঞ্জও সৃষ্টি করতে পারে। নিচে মাইক্রোসার্ভিসের সুবিধা এবং চ্যালেঞ্জগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
মাইক্রোসার্ভিসে প্রতিটি সেবা (service) আলাদাভাবে স্কেল করা যায়। এর ফলে, শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় মাইক্রোসার্ভিসটি স্কেল করা যায়, যা অ্যাপ্লিকেশনের পারফরম্যান্স উন্নত করে এবং সার্ভারের লোড কমাতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো পেমেন্ট প্রসেসিং সার্ভিস বেশি লোড নেয়ার মুখে থাকে, তবে সেটি স্কেল করা যাবে, তবে অন্যান্য সার্ভিসগুলোর স্কেলিংয়ের প্রয়োজন হবে না।
মাইক্রোসার্ভিসে প্রতিটি সার্ভিস আলাদা, তাই ডেভেলপাররা একে অপরের কাজ থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। এটি ডেভেলপমেন্ট সাইকেল দ্রুত করে এবং পরিবর্তন বা নতুন ফিচার ডিপ্লয় করতে সময় কম লাগে। প্রতিটি সার্ভিসকে এককভাবে ডিপ্লয় করা যায়, ফলে পুরো অ্যাপ্লিকেশনটি রিলিজ করা বা আপডেট করা খুবই সহজ হয়।
মাইক্রোসার্ভিসে প্রতিটি সার্ভিস আলাদাভাবে কাজ করে, তাই প্রতিটি সার্ভিসের জন্য আলাদা প্রযুক্তি বা প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি মাইক্রোসার্ভিস Java ব্যবহার করতে পারে, অন্যটি Node.js বা Python ব্যবহার করতে পারে। এটি প্রযুক্তি নির্বাচনকে আরো নমনীয় করে তোলে।
মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচারে একটি সার্ভিস ব্যর্থ হলে, পুরো সিস্টেমের উপর তার কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ, অন্যান্য সার্ভিসগুলো নিজস্বভাবে কাজ করতে পারে। এভাবে, সিস্টেমটির স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে এবং কোনো সমস্যা ঘটলেও পুরো সিস্টেমে ক্ষতি কম হয়।
কারণ প্রতিটি মাইক্রোসার্ভিস একটি নির্দিষ্ট কার্যকরী অংশ সম্পাদন করে, তাই কোড সোজা এবং পরিষ্কার থাকে। যে কোন মাইক্রোসার্ভিসে পরিবর্তন করা বা নতুন ফিচার যোগ করা সহজ হয়, কারণ এর জন্য পুরো সিস্টেম পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয় না।
মাইক্রোসার্ভিসে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করার স্বাধীনতা থাকায়, নতুন নতুন প্রযুক্তি বা কৌশল পরীক্ষা করা সহজ হয়। একটি নির্দিষ্ট মাইক্রোসার্ভিসে নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগ করে দেখা যেতে পারে, যা পুরো সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলবে না।
যেহেতু মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচারে একাধিক সার্ভিস থাকে, সেগুলোর মধ্যে যোগাযোগ এবং সমন্বয় পরিচালনা করা কঠিন হতে পারে। এটি ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেমের জটিলতা সৃষ্টি করে, যেমন সার্ভিসগুলো কীভাবে একে অপরের সাথে কথা বলবে, ইন্টার-সার্ভিস কমিউনিকেশন কীভাবে হবে ইত্যাদি। এই জটিলতা সিস্টেমের ম্যানেজমেন্ট এবং মনিটরিংকে কঠিন করে তোলে।
মাইক্রোসার্ভিসে প্রতিটি সার্ভিসের জন্য আলাদা ডেটাবেস থাকতে পারে। যখন একাধিক সার্ভিস ডেটা শেয়ার করে, তখন ডেটা কনসিসটেন্সি রক্ষা করা কঠিন হতে পারে। সাধারণত, eventual consistency ব্যবহার করা হয়, তবে এটি কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নয়, যেমন ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে যেখানে ট্রানজেকশনাল কনসিস্টেন্সি জরুরি।
মাইক্রোসার্ভিসগুলোর মধ্যে সার্ভিসের মধ্যে যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে হয়ে থাকে, ফলে network latency এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। একাধিক সার্ভিসের মধ্যে বার্তা পাঠানো বা ডেটা ট্রান্সফার করার সময় নেটওয়ার্ক বিলম্ব হতে পারে, যা অ্যাপ্লিকেশনের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে।
মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচারে একাধিক সার্ভিস একযোগে কাজ করে। কিন্তু, ট্রানজেকশনগুলো এক সার্ভিস থেকে অন্য সার্ভিসে গমন করে, এবং এটি একাধিক সার্ভিসের মধ্যে সমন্বয় এবং পারফরম্যান্সের উপর চাপ ফেলতে পারে। ডিস্ট্রিবিউটেড ট্রানজেকশনগুলো পরিচালনা করা কঠিন হতে পারে এবং এতে কিছু সমস্যা থাকতে পারে।
মাইক্রোসার্ভিস সিস্টেমে বিভিন্ন সার্ভিস থাকে এবং প্রতিটি সার্ভিসের কার্যকারিতা আলাদা হয়। তবে, সার্ভিসগুলোর মধ্যে সম্পর্ক ও ম্যানেজমেন্ট অনেক জটিল হতে পারে। সার্ভিসগুলো ডিপ্লয়মেন্ট, মনিটরিং এবং স্কেলিংয়ের জন্য দক্ষ টুলস বা ফ্রেমওয়ার্ক প্রয়োজন হয়।
মাইক্রোসার্ভিস সিস্টেমে প্রতিটি সার্ভিস আলাদাভাবে কাজ করে, এবং এগুলোর মধ্যে ডেটা এবং কমিউনিকেশন একত্রিত থাকে। এ কারণে ইন্টিগ্রেশন টেস্টিং এবং ডিবাগিং জটিল হয়ে ওঠে। একটি সার্ভিসে সমস্যা হলেও, পুরো সিস্টেমে প্রভাব পড়তে পারে এবং ত্রুটির উৎস চিহ্নিত করা কঠিন হতে পারে।
Microservices Architecture একটি শক্তিশালী এবং স্কেলেবল প্যাটার্ন যা বিভিন্ন সুবিধা যেমন দ্রুত ডেভেলপমেন্ট, স্কেলেবিলিটি, এবং প্রযুক্তি স্বাধীনতা প্রদান করে। তবে এটি কিছু চ্যালেঞ্জও সৃষ্টি করে, যেমন সিস্টেমের জটিলতা, ডেটা কনসিসটেন্সি, এবং সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সমস্যা। সঠিক পরিকল্পনা এবং উপযুক্ত টুলস ব্যবহার করে এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করা সম্ভব। Microservices সিস্টেম একাধিক ছোট এবং স্বাধীন সার্ভিসে বিভক্ত করা হয়, যার ফলে সিস্টেমটির স্থিতিশীলতা এবং স্কেলিং আরও সহজ হয়ে ওঠে।
Microservices আর্কিটেকচার এবং Web Services দুটি প্রযুক্তি যা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে একে অপরকে পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে পারে। Microservices একটি অ্যাপ্লিকেশনকে ছোট, স্বাধীন সেবা বা সিস্টেমে বিভক্ত করে, যেখানে প্রতিটি মাইক্রোসার্ভিস নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে। Web Services হল একটি যোগাযোগ পদ্ধতি যা দুই বা ততোধিক অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে তথ্য বা পরিষেবা শেয়ার করার জন্য ব্যবহৃত হয়। Microservices architecture এবং Web Services একত্রে কাজ করতে পারে, যা একটি কার্যকরী, স্কেলযোগ্য, এবং নির্ভরযোগ্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে সহায়তা করে।
Microservices architecture হল একটি সিস্টেম ডিজাইন প্যাটার্ন যেখানে একটি বৃহৎ অ্যাপ্লিকেশনকে ছোট, স্বাধীন, এবং পরিচালনাযোগ্য সেবা বা সার্ভিসে বিভক্ত করা হয়। প্রতিটি মাইক্রোসার্ভিস সাধারণত একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে এবং এটি অন্যান্য সার্ভিসগুলোর সাথে একটি পরিষ্কার API বা যোগাযোগ প্রোটোকল (যেমন RESTful Web Services বা SOAP) ব্যবহার করে ইন্টিগ্রেট করা হয়।
Web Services (যেমন RESTful Web Services বা SOAP) সাধারণত Microservices-এ ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন মাইক্রোসার্ভিসের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান এবং সেবা ইন্টিগ্রেশন করার জন্য। মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচারে, প্রতিটি সার্ভিস অন্যান্য সার্ভিসের সাথে যোগাযোগ করার জন্য API (Application Programming Interface) ব্যবহার করে, এবং এই API-গুলি Web Services হতে পারে।
Microservices architecture-এ Web Services ইন্টিগ্রেশন সাধারণত RESTful Web Services বা SOAP ব্যবহার করে করা হয়। সাধারণত REST API সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কারণ এটি সিম্পল এবং লাইটওয়েট, তবে SOAP কিছু সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয় (যেমন ট্রানজেকশনাল সিস্টেমে)।
RESTful Web Services মাইক্রোসার্ভিসের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় যোগাযোগ পদ্ধতি। এখানে HTTP প্রোটোকল ব্যবহার করে মাইক্রোসার্ভিসগুলির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়, এবং এই যোগাযোগ JSON বা XML ফরম্যাটে হয়।
RESTful Web Services ব্যবহার করে মাইক্রোসার্ভিসের ইন্টিগ্রেশন:
SOAP হল একটি স্ট্রিক্ট প্রোটোকল যা মাইক্রোসার্ভিসের মধ্যে কঠোর এবং নিরাপদ ডেটা আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়। SOAP API গুলি সাধারণত XML ফরম্যাটে কাজ করে এবং নিরাপত্তা এবং ট্রানজেকশনাল সাপোর্টের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত WS-Security এবং WS-ReliableMessaging এর মতো নিরাপত্তা ফিচার সমর্থন করে।
SOAP Web Services ব্যবহার করে মাইক্রোসার্ভিসের ইন্টিগ্রেশন:
Microservices এবং Web Services একে অপরের সাথে কার্যকরভাবে ইন্টিগ্রেট হতে পারে, এবং একটি স্কেলেবল, নির্ভরযোগ্য এবং পারফরম্যান্স-অপ্টিমাইজড সিস্টেম তৈরি করতে সহায়তা করে। Microservices এর মধ্যে বিভিন্ন সার্ভিস Web Services (যেমন RESTful API বা SOAP) ব্যবহার করে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। Web Services ইন্টিগ্রেশন stateless, loosely coupled, এবং scalable সিস্টেম তৈরি করতে সাহায্য করে, যা আধুনিক সফটওয়্যার আর্কিটেকচারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
API Gateway এবং Service Discovery দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচারে, যেখানে একাধিক ছোট এবং স্বাধীন সার্ভিসের মধ্যে যোগাযোগ এবং পরিচালনা সহজ করা হয়। এই দুটি প্রযুক্তি মাইক্রোসার্ভিসগুলির কার্যক্ষমতা এবং স্কেলেবিলিটি নিশ্চিত করতে সহায়ক। নিচে এই দুটি উপাদান বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
API Gateway হলো একটি একক এন্ট্রি পয়েন্ট বা প্রোক্সি সার্ভিস যা মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচারে বিভিন্ন মাইক্রোসার্ভিসের মধ্যে যোগাযোগ পরিচালনা করে। এটি ক্লায়েন্টের অনুরোধ গ্রহণ করে এবং সেগুলিকে বিভিন্ন মাইক্রোসার্ভিসে পাঠিয়ে দেয়। API Gateway সাধারণত ক্লায়েন্টের কাছে একক API হিসেবে উপস্থিত থাকে, যার মাধ্যমে মাইক্রোসার্ভিসগুলি একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
Popular API gateways include Kong, Nginx, AWS API Gateway, and Zuul.
Service Discovery একটি প্রক্রিয়া যা মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচারে ব্যবহৃত হয়, যেখানে একাধিক সার্ভিসের অবস্থান (URL, আইপি ঠিকানা) স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুঁজে বের করা হয়। মাইক্রোসার্ভিসগুলির মধ্যে যোগাযোগ করতে হলে তাদের ঠিকানা জানতে হয়, এবং এটি Service Discovery পদ্ধতির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হয়।
API Gateway এবং Service Discovery মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচারে দুইটি অপরিহার্য উপাদান যা মাইক্রোসার্ভিসগুলির মধ্যে যোগাযোগ এবং পরিচালনাকে সহজ করে তোলে। API Gateway সার্ভিসগুলির মধ্যে প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে এবং Service Discovery সার্ভিসগুলির অবস্থান স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করে, যাতে মাইক্রোসার্ভিসগুলির মধ্যে নির্ভরশীলতা এবং স্কেলেবিলিটি বজায় থাকে।
এই দুটি উপাদান একত্রে কাজ করলে মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচারে কার্যক্ষমতা, স্কেলেবিলিটি এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা যায়।
Read more